শাহীন মাহমুদ রাসেল :: গতমাস থেকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কয়েকটি ইটভাটায় পুরোদমে চলছে ইট তৈরির কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছে ইট তৈরির কারিগররা। কিন্তু হঠাৎ করে গত দুইদিনের অসময়ের বৃষ্টির কারণে কয়েকটি ভাটায় তৈরিকৃত ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইটভাটাগুলোর।
লোকসান গুনতে হচ্ছে ভাটা মালিকদের। সেই সঙ্গে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় ইট তৈরি করতে পারছেনা ভাটার মালিকগণ। ফলে কর্মহীন হয়ে পরেছে সেই সব ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা। সবমিলে বিপাকে পরেছে মালিক ও শ্রমিকরা। আকাশ ভালো হলে নতুন করে পুনরায় ইট তৈরির সম্ভাবনা করছে তারা।
এছাড়া শীতের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার সারাদিনই অব্যাহত ছিল এই বৃষ্টি। সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টির গতি। সারাদিন মেলেনি সূর্যের দেখা।
উপজেলার চাকমারকুল এলাকায় অবস্থিত নীপা ব্রীক্স ইটভাটার দায়িত্বে থাকা সালেক হোসেন জানান, আমার ইটভাটায় ১২ লাখ ইট শুধু চুলায় আগুন দিয়ে জ্বালানোর অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু অসমের হঠাৎ বৃষ্টির কারণে প্রায় ৯ লাখ ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ৮ লাখ টাকার মত লোকসান শুধু এই ভাটায় হয়েছে। এছাড়াও বাকি ইটভাটাগুলোতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ২’শ ৫০ জন শ্রমিক আমার এখানে ইটভাটায় কাজ করে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় এখন ১’শ জন শ্রমিক ইটভাটায় কাজ করছে। ১’শ ৫০জন শ্রমিক বেকার হয়ে পরেছে।
ভাটার মালিকগণ জানান, হঠাত বৃষ্টির ফলে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে ইটের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
ইট তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে যে ইটগুলো তৈরি করা হয়ে ছিল তা সম্পূর্ন ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি হাজার কাঁচা ইট তৈরিতে খরচ ১ হাজার টাকা আবার নষ্ট ইটগুলো সরাতে হাজার প্রতি এক হাজার টাকা। এতে পড়েছেন উভয় সঙ্কটে।
তবে এই বৃষ্টি কৃষির জন্য আর্শীবাদ বলে মনে করেন কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মন্জুরুর ইসলাম। তিনি জানান, বৃষ্টিতে বিবিন্ন আবাদের জন্য বড় উপকার হবে। সবজির জমিতেও ময়েশ্চার এবং পানি পেয়ে সেগুলো আরো সতেজ হবে। এই হালকা বৃষ্টির কৃষির জন্য আর্শীবাদ স্বরুপ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, শীতে যাতে দরিদ্র লোকজনের কষ্ট না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিদিনই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: